২০/০৫/২০০১ইং
সিলেট
কঙ্কাবতী
বাংলাদেশের পূর্ণ্যভুমিতে আমি এখন অবস্থান করছি।
মধুর অনুভূতিপ্রবণ এ ভ্রমণ তোমার কাছে বর্ণনা
করার প্রয়াসে আমার এ লেখা। ঢাকা থেকে ৩৬৫ কি:মি: দূরে সিলেট অবস্থিত। ৩৬০ জন আউলিয়া
ও সুফি ইসলাম ধর্ম প্রচারে র জন্য সিলেটে আসেন এবং ধর্ম প্রচার করেন, তাদের সিলেটের
মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন জন্য সিলেটকে পূর্ণ্যভুমি বলা হয়েছে। তাদের
মধ্যে হযরত শাহজালাল (রহ:) ও হযরত শাহপরান (রহ:) অন্যতম।
গত ১৮ মে ২০০১ এ মাহমুদের সাথে এখানে এসেছি-কিছুটা
স্বস্তির নি:শ্বাস নিতে। আজ সকালে গিয়েছিলাম জাফলং, সিলেট শহর থেকে ৫৩কি:মি: দূরে ইন্ডিয়া
সীমান্তে এর অবস্থান। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপচে পরেছে এখানে। জাফলং এর কাছাকাছি
পৌঁছানোর কিছু আগেই এক পসলা বৃষ্টি আমাদের স্বাগত জানালো। মেঘ আর পাহাড়ের এ মিতালী
চক্ষে না দেখলে বিশ্বাস হয় না, সারাক্ষণ এরা জজরি করে থাকে- একটা তীব্র ভালবাসার শক্তি
এদের দু’জনের মধ্যে, তাদের এ
মিতালি ফসল হলো কিছুক্ষণ পর পর বর্ষণ। সে এক অন্য রকম মজা , অন্য রকম কিছু । আমরা কয়েকবার
সেই বর্ষণ মুখোমুখি হয়েছি।
জাফলং সীমান্ত ঘেঁষে একটা পাহাড়ী নদী বয়ে গেছে
যার উৎপত্তি ভারত-নদীর নাম মনে করতে পারছি না। নদীতে মাছ আছে কিনা বলা শক্ত। তবে শক্ত
ও কঠিন একটি জিনিস পাওয়া যায় তা হলো পাথর। স্থানীয় মানুষ সারাদিন বালতি দিয়ে পাথর আহরণ
করে, শুনেছি বাংলাদেশের পাথরের চাহিদা র একটি বড় অংশ পুড়ন হয় এই পাথর দিয়ে। নদীতে পানি
খুবই কম, দু’টাকায় নদী পার হয়ে ওপারে
গিয়ে দেখলাম ছোট একটি পল্লী, উপজাতীদের একটা গোষ্ঠী এখানে বসবাস করে যার নাম “খসিয়া’’–এদের জীবন চলাফেরা নিয়ে
বিস্তারিত লিখতে গেলে একটা উপন্যাস হয়ে যাবে, দেখা হলে বিস্তারিত বলবো।
চা বাগান ও আওলিয়া পর্ব ঢাকা থেকে লিখবো। অনেক
হেঁটেছি, ক্লান্তি আমার পিছু ছাড়ছে না, তাই ঘুমোতে যেতে হচ্ছে, ভাল থেকো। আমি ভাল আছি।
মাহমুদ বেশ যত্ন করছে।
তোমার
ডালিম
কুমার
পুনশ্চ: পাহাড়ের উচুতে কিছু ডাকবাংলো আছে মধুচন্দ্রিমার
জন্য ভেবে দেখো----
Comments
Post a Comment